পেকুয়ায় কামরুল হাছান (৭) নামের এক শিক্ষার্থীকে বেদড়ক পিটিয়ে আহত করেছে মাদ্রাসার শিক্ষক মোহাম্মদ ইমরান। আহত ছাত্র পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের পশ্চিমকূল তাজবিদুল কোরআন নূরানী মাদ্রাসার ১ম শ্রেণীর ছাত্র ও একই এলাকার মৌলানা ফরিদুল আলমের পুত্র।
সোমবার (২০মার্চ) বেলা ৩টার দিকে মাদ্রাসায় শ্রেণী কার্যক্রম চলাকালীন সময়ে মুখস্ত হাদিস বলতে না পারার অযুহাতে ওই শিক্ষার্থীর উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় ওই পাষন্ড শিক্ষক। শিক্ষকের মারধরে অজ্ঞান হয়ে পড়লে ওই শিক্ষার্থীকে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
এদিকে মঙ্গলবার (২১মার্চ) এ ঘটনার বিচার চেয়ে আহত শিক্ষার্থীর পিতা মৌলানা ফরিদুল আলম বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকসহ মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ও পরিচালনা কমিটির সভাপতিকে বিবাদী করে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মৌলানা ফরিদুল আলম বলেন, মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকের সাথে শত্রুতার জের ধরে ওই শিক্ষক তাঁর শিশুপুত্রকে তুচ্ছ অযুহাতে মারধর করেন।
তিনি আরো বলেন, আমার শিশুপুত্রকে শুধু বেত্রাঘাতে ক্রান্ত হয়নি ওই পাষন্ড শিক্ষক। পাকা পিলারের সাথে আমার শিশুপুত্রের মাথা সজোরে ধাক্কাও দেন তিনি। এতে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী আমার ছেলেকে অজ্ঞান ও রক্তাত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব উল করিম বলেন, আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযত আইনী ব্যবস্থা নিতে পেকুয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে নির্দেশ প্রদান করেছি।
পাঠকের মতামত: